By Arpan Ghosh on Oct 14, 2022.
Reading time: 2 minutes.
গোড়াতেই বলে রাখি, আমার মতো এত ভালো শৈশব আর পরিবার পাওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। আমার পরিবার ও বাবা মায়ের সাহায্য ছাড়া আমি কখনোই আমার এখনকার জায়গায় পৌঁছুতে পারতাম না। সেদিক থেকে আমি সকলের কাছে ঋণী। এখানে আমার পরিবারের সমস্ত সদস্যদের সম্পর্কে একটি ছোট ভূমিকা রইলো।
আমার মা
আমার চরিত্র গঠনের পিছনে আমার মায়ের অনেক অবদান রয়েছে। আমাদের মা প্রয়োজনে আমাদের যেমন শাসন করেছেন, তেমনি কঠিন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস ও উৎসাহ দিয়েছেন। মায়ের আদর ও আশীর্বাদ সব সময়েই আমাদের সাথে থেকে দুর্গম পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। মায়ের অন্য অনেক গুনের মধ্যে বিশেষ করে ধৈর্য্য ও সহ্যগুনের কোনো তুলনা হয়না। মাকে আমি জীবনে অনেক কঠিন সমস্যার সন্মুখীন হয়েও বিচলিত হতে দেখিনি। মায়ের অসীম ভালোবাসাই আমার জীবনের পাথেয়। তাঁর কাছ থেকে আমার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে।
আমার বাবা
আমি গর্ব করে একথা বলতে পারি যে আমার বাবাই প্রথম দিন থেকেই আমার অনুপ্রেরণার উৎস। বাবার মতো সৎ এবং সত্যনিষ্ঠ মানুষ আজকালকার দিনে প্রায় দেখাই যায় না। ছোটবেলায় বাবার শাসন কে ভয় পেলেও এখন বড় হয়ে বুঝতে পারি তখন কিভাবে বাবা নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কে উপেক্ষা করে আমাদের মানুষ করেছেন। বাবা মনের দিক থেকে ছিলেন অনেক বড় তাই কোনো প্রয়োজনীয় বিষয়ে তাঁকে কখনো কার্পণ্য করতে দেখিনি। মূল্যবোধের শিক্ষাটা জীবনে বাবার কাছ থেকেই পাওয়া। অন্য কথায়, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যক্তিত্ব একসাথে আমাকে জীবনে চলার পথ দেখিয়েছে।
আমার দাদা
এককথায় বলতে গেলে আমার সব কৃতিত্বের পিছনেই আমার দাদার কিছু না কিছু অবদান আছে। আমি পড়াশুনার সাথে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইনিং যা কিছু শিখেছি, সব কিছুর শুরু বা হাতেখড়ি দাদার হাত ধরেই হয়েছে। যেকোনো বিষয়েই আমি যখন কোথাও ঠেকে যাই, আমি প্রথমেই দাদার কাছে যাই। আমাদের দুজনের ইন্টারেস্টগুলো এত ভালো মিল খায় যে আমরা একসাথে কথা বলতে বসলে তিন-চার ঘন্টা এমনি পার হয়ে যায়। পিএইচডি করে এখন দাদা জার্মানিতে থাকে এবং এল. ডি. সি. তে একজন বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করে। আমার দাদার সম্পর্কে আরও জানতে এই ওয়েবসাইট দেখুন।
আমি
আমাকে কেন্দ্র করেই এই ওয়েবসাইট তাই এখানে আর আমার ব্যাপারে বিশেষ কিছু বলার নেই। আমি আমার পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্য। আমার পরিবারের সকলে আমাকে যে ভাবে সঙ্গ দিয়ে ও পাশে ঠেকে বড় করে তুলেছে তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এই ওয়েবসাইট এর আনাচে কানাচে আমার ব্যাপারে আরো অনেক কিছু ছড়িয়ে রয়েছে যা এখানে এক কথায় বলা সম্ভব নয়। এখানে আমার পড়াশুনার ব্যাকগ্রাউন্ড এর পাশাপাশি বন্ধু এবং পরিবারের সাথে ভ্রমণ এর ছবিগুলিও রয়েছে। এই ওয়েবসাইট ছাড়াও আমার এই ডিজাইন পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটটিতে আমি আমার কিছু প্রফেসশনাল ডিজাইনিং এর কাজ তুলে ধরেছি।